আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: গইটা ও গুল তৈরির ধুম পড়েছে লালমনিরহাট জেলা জুড়ে। রান্নার চুলাও জ্বলে, সেই সাথে বাড়তি টাকাও আসে।
নিম্ন আয়ের গৃহস্থবাড়িতে সকাল-বিকাল গোবরের গইটা ও গুল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন নারীরা। এতে নিজেদের ঘরের চুলা জ্বালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ও হচ্ছে।
কেউ কেউ গইটা ও গুল বেচে করছেন আয়, হচ্ছেন স্বাবলম্বীও।
লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদরসহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলায় গইটা ও গুল তৈরির দৃশ্য চোখে পড়েছে।
শীতের মিষ্টি রোদে গইটা ও গুলগুলো শুকিয়ে জ্বালানোর উপযোগী করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের নারীরা।
আবার পাটকাটি, বাঁশের ঝিক, গাছের চিকন ডালপালায় বিশেষ কৌশলে গোবর লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গইটা ও গুল।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের আছমা খাতুন (৩০) বলেন, গরু আছে গোয়ালে। শীতকালে প্রতিদিন সকালে যে গোবর পাই তা দিয়ে গইটা তৈরি করি। বছরের অন্য সময় গোবর মাটিতে বড় গর্ত করে জমিয়ে রাখি। ক্ষেত খামারে গোবরের কদর আছে বেশ।
তিনি জানান, প্রতিটি গোবরের গইটা সর্বনিম্ন ৫টাকা বিক্রি হয়। গইটা ও গুলের সাহায্যে আমরা বছরের বেশিরভাগ সময় চুলা জ্বালাই। এ ছাড়া বাড়তি গইটা ও গুল বিক্রি করি।
স্থানীয় কৃষক হরিপদ রায় হরি জানান, গরুর গোবর চাষিদের কাছে আশীর্বাদ। পর্যাপ্ত গরুর গোবর দিতে পারলে সবজি ক্ষেতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। শীতকালে বেশিরভাগ তাজা গোবরই গইটা ও গুল তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। জ্বালানি হিসেবে গইটা ও গুলের ছাই আমরা ক্ষেতের পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার করছি।